বন্ধুদের নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ, লম্পট ইমন রিমান্ডে বন্দর প্রতিনিধিঃ
বন্ধুদের নিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী শাহজালালের পর এবার তার বন্ধু ইমন খানকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
গত ১৬ নভেম্বর সোমবার রাতে বন্দর খানবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং ২৭(১০)২০।গ্রেপ্তারকৃত লম্পট ইমন খান ওরফে ইমু (৩২) বন্দর একরামপুর এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে হবির ছেলে বলে জানা গেছে।
পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) রুহুল হাওলাদার গ্রেপ্তারকৃত চিহিৃত লম্পট ইমন খান ওরফে ইমুকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। পরে ১৮ নভেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন এর আদালতে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।কোর্ট পুলিশের এ এস আই ফেরদাউস বলেন, এ মামলার প্রধান আসামী শাহজালালকে ২ বার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এ মামলার আসামী ইমন খানকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠায়। পরে শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত,শাহজালাল এর ২য় স্ত্রী ছিল এ মামলার ভুক্তভোগী গৃহবধূ (২০)। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই শাহজালাল তার প্রথম স্ত্রী শারমিনের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে।
এই নির্যাতন সহ করতে না পেরে ভুক্তভোগী নারী শাহজালাল এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে। বিবাহ বিচ্ছেদ এর পর থেকে শাহজালাল আবার ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন, কিন্তু ভুক্তভোগী নারী শাহজালালকে বিয়ে করতে অনিহা প্রকাশ করে।
পরে গত ১৮ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারীকে সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া ব্রীজের নিচে যেতে বলেন। পরে ঐ নারী সেখানে গেলে তাকে একটি কালো গ্লাস ওয়ালা সাদা মাইক্রোবাসে তার স্বামী শাহজালাল হাবিব(২৭) পারভেজ (২৯) সহ অজ্ঞাত নামা ১ এক জন হাত পা, চোখ বেধে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে হাবিব, পারভেজ ও অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তি।
তারপর ভুক্তভোগী নারীকে আবার চোখ, হাত পা, বেঁধে সোনারগাঁ টিপরদী সাকিনস্থ কংকা ফ্যাক্টরীর সামনে ফেলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য