ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ
কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু নাটকের শেষ কোথায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কুতুবপুর এর শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু বাড়ির সামনে নাকি কে বা কাহার মুখোশ পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুরছে সেই সময় তিনি অঙ্গাত নামে থানা জিডি করেন।
গত ১৪ জানুয়ারি ভোর রাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু বাড়িতে নাকি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তবে এবার হাস্য কর বিষয় হল তার নিজের লোকেরাই নাকি এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এই ঘটনা শুনার পর হাস্যকারে পরিণত হয়েছে কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু।
এরকম নাটক মিরু এই প্রথম নয়, নয়ামাটির আলোচিত হত্যা কান্ডের অন্যতম আসামী ডাকাত মীরু, ডাকাতি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় ব্যবসায়ী সিরাজকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন মীরু সহ তার সহযোগীরা।
পরে সেই ডাকাতির ৩ লক্ষ টাকার এক লক্ষ টাকা নিজেই হাতিয়ে নেয়, বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ডাকাতিতে থাকা তার সহযোগীরা তাকে গুলি করেন। আর সেখান থেকেই সাজিয়ে ফেলেন এক নাটক, তিনি নাকি শামীম ওসমানের রাজনীতি করায় তাকে গুলো করা হয়েছে। তবে এই নাটক সাজিয়ে কপাল খুলে যায় সন্ত্রাসী মীরু।
রাতারাতি লেংড়া মীরু হয়ে যায় নেতা, আর এরপর থেকে পিছনে ফিরতে হয়নি শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু কে ,মীরুর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক হত্যা মামল,চাঁদাবাজি মামলা, অস্ত্র মামলা।
তবে এরকম পঙ্গুত্ব বরন করে রাতারাতি কাউকে এভাবে অটল সম্পদের মালিক হতে দেখা যায়নি। মীরু রয়ছে বিশাল বাহিনী এ বাহিনী সদস্য প্রায় শতাধিক হাবিবুল্লা, কালা জাহাঙ্গীর, খলিলুর রহমান ওরফে বাবা খলিল, হকার শহিদুল ,গেন্দু ভাঙ্গারী,কাদির, সোহান, রাকিব, মাহাবুব, আরিফ, রাজিব, জমজ মাহাবুব সহ আরো অনেকেই এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন মামলা।
এদের দিয়ে এলাকায় আবার গড়ে তুলেছেন একটি ফিটিং বাহিনী তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ব্যাকংমেলিং করে হাতি নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা, সব মিলিয়ে কুতুবপুর এ একটি অপরাধ জগতে স্বরাজ্য গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী মীরু।
সম্রাট এর থেকে ভয়ংকর এই মীরু কিন্তু প্রশাসন নিরব,,,,,,,, বাকিটা আসছে