১০লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলাঃ রিমান্ড শুনানীতে ডিশ বাবু‘র পক্ষে বারের নেতৃবৃন্দ

বন্দর থানার ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুর রিমান্ড শুনানী সম্পন্ন করেছে আদালত ।

আজ মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নূরুননাহার বেগমের আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ অনেক আইনজীবী আদালতে দাড়িয়ে আবদুল করিম বাবুর পক্ষে রিমান্ড বাতিলের জন্য জোরালো আবেদন করেন ।

অপরদিকে আদালতের ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান এবং কোর্ট দারোগা কামাল হোসেন আদালতকে রিমান্ড প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন যুক্তি উত্থাপন করেন ।

আদালতে বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের শুনানী শেষ করে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন ।

কোর্ট ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, রিমান্ড শুনানী সম্পন্ন করে আদেশের জন্য সময় নিয়েছেন আদালত। পরে আদেশ দেয়া হবে ।

আজ আদালতে নেয়ার সময়  বাবুকে বহন কারী প্রিজন ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাঠাল গাছের সাথে ধাক্কা লেগেছে।  জানা গেছে ব্রেক মিস করে গাড়ি কাঠাল গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয় নাই। গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে গেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে ডিবির একটি দল বন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় আবদুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুকে কে গ্রেপ্তার করে । ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানোর পর এ দিন রিমান্ড শুনানীর জন্য মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ধার্য্য করে কারাগারে পাঠায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্দর থানার একটি মামলায় বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মো. কাউসার। সে বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামী আব্দুল করিম বাবু (ডিস বাবু) দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। বিবাদী জোরপূর্বক বন্দরে তার লোকজন দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন জায়গায় কেবল নেটওয়ার্কের তার কেটে নিজস্ব নেটওয়ার্ক লাইন সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী পারভেজ আলম, সাইফুল ইসলাম শ্যামলের সাথে বাবুর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। নেটওয়ার্কের ব্যবসার জন্য এলাকার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের মালিকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

এরই জেরে গত ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের নেটওয়ার্কের মেরামত কাজ করা কালে আসামী বাবুর প্ররোচনায় সহযোগীতায় ও নির্দেশে মো. সজিব (৩৫), মো. রিতু (৩২), মো. রনি (৩৪), মো. জুম্মাল (৩৪), মো. নিজুম, মো. রানা (৩৫) সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫জন বিবাদী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে পথরোধ করে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা, একটি ফাইভার মেশিন যার মূল্য দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও একটি মই মূলা নিয়ে যায়। এছাড়াও বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে আবদুল করিম বাবু ওরফে ডিশ বাবু ওরফে মাউড়া বাবু‘র বিরুদ্ধে আবারো দুটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগও উঠেছে।