সৌদি আরব হজের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। খুবই স্বল্প পরিসরে ও সীমিত সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে হজ। এবার যারা হজে অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য কড়াকড়ি শর্ত জুড়ে দিয়েছে হজকর্তৃপক্ষ। হারামাইন ডটইনফো শর্তগুলো তুলে ধরেছেন। আর তাহলো-
– শুধুমাত্র সৌদি আরবের অবস্থানরত লোকদের মধ্য থেকেই হজে অংশগ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ বর্হিঃবিশ্বের কোনো দেশ থেকে হাজিগণ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
– হজে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উন্নীত হতে হবে।
– হজের পর হজে অংশগ্রহণকারীদের বাড়ি বা কর্মস্থলে ফেরার আগে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।
– সৌদি আরবের নাগরিক ও সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশিরা হজে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
– ৬৫ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তির হজে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
– স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনায় এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন।
– হজের সময় শুধু হাজিদের জন্যই আলাদা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার যাবতীয় জরুরি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
– সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অব্যাহত রেখেই হজ অংশগ্রহণ ও হজের রোকনগুলো পালন করতে হবে।
– এবারের হজে সর্বোচ্চ ১০ হাজারের বেশি লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন হজ কর্তৃপক্ষ।
– আন্তর্জাতিকভাবে হজের জন্য কোনো ব্যতিক্রম কিছু হবে না। এটি শুধূ সৌদিতে অবস্থানকারী (দেশি-বিদেশি) হজ পালনকারীদেগর জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা।
– যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ বছরের হজের মিডিয়া ব্যবস্থাপনাও অব্যাহত থাকবে।
– এবারের হজের কূটনৈতিক মিশনের লোকজনের জন্যও যথাযথ নিবন্ধন সাপেক্ষে হজের ব্যবস্থাপনা থাকবে।
– আগে থেকে ঘোষিত সৌদি আরবের বাইরের বর্হিঃবিশ্বের কোনো দেশের এজেন্ট কিংবা হজ মিশনের কেউই এবারের হজে যাত্রী বা প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে না।
– যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তাই এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রাধান্য পাবে।
– সর্বোপরি সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত সাপেক্ষেই হজে অংশগ্রহণ করতে হবে।
– প্রতিদিনই প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।