নারায়নগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের গণশুনানিতে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে।
সোমবার(৭সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি’র অফিস কক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ গণশুনানি চলে।
সকাল ১০টা থেকে গণশুনানির সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউকে সাক্ষী দিতে আসতে দেখা যায়নি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে। তবে ২টার পর থেকে আসা শুরু করে মসজিদের বিস্ফোরনের প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বাক্ষী দিতে গণশুনানিতে।
গণশুনানি শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জানায়,আমরা গত ৪ সেপ্টেম্বর তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে প্রত্যক্ষদর্শীদের গণশুনানির মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহন করি।আমাদের তদন্তের স্বার্থে এই গনশুনানি ডাকা হয়েছে।এই পর্যন্ত ১৮ জন বিস্ফারণ ঘটনার লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য প্রদান করেছে। আরো কেউ দিতে চাইলে তাও নিবো।
গণশুনানিতে লোকজনদের ম্যানেজ করে তাদের গাড়ী ভাড়া দিয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আনা হয়েছে এবং যারা স্বাক্ষী দিয়েছে তারা বিস্ফোরিত মসজিদ কমিটির অনুসারী সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান।
উল্লেখ্য যে গত ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম তল্লার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ চলাকালীন সময় বিস্ফোরন হয়।বিস্ফোরনে অর্ধশতাধিক অগ্নিদগ্ধ হয়।এর মধ্যে অনেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ৩৭ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।এর মধ্যে এই পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছে, এক জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে এবং বাকি ৯ জনের অবস্থায় সংকটাপন্ন।