আলোকিত মানুষদের আলোকিত করে রাখবো- মেয়র আইভি

আইভী বলেন, ‘আমি যখন পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসলাম তখন প্রথম দাবি ছিল শ্মশানের সঙ্গে কবরস্থানে সীমানা নিধারণ করে দেওয়া। তখন আমি বলেছিলাম আমি তো মাত্র এসেছি তার আগে আলী আহম্মদ চুনকা সাহেব, জোহা সাহেব, একেএম শামীম ওসমান নেতৃত্ব দিছে তাদের মাধ্যমে কেন এটা সমাধান করলেন না। আমি মাত্র পাস করে এসেছি এরকম একটি ধর্মীয় জটিল ব্যাপার। তখন তৎকালীন প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কবরস্থান ও শ্মশান দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০৩ থেকে আজকে পর্যন্ত দায়িত্বটা সেই পালন করে আসছে, আমাদের যখন যা জানাচ্ছে সেভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কখনো আমরা কমিটি কিংবা অন্য কিছুতে আমরা হাত দেইনি।

বুধবার(৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের মাসদাইর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ‘অন্নপূর্ণা ভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,‘আমাদের সিটি করপোরেশন এরিয়ায় প্রায় ৩৪টি কবরস্থান ও ৪টি শ্মশান আছে। সবগুলো শ্মশান ও কবরস্থানে কাজ চলমান আছে। এছাড়া আমরা সিটি এরিয়ার বাইরেও আমরা কবরস্থানের কাজ করেছি। আমি প্রচুর লাইট লাগিয়েছি। এক সময় কবরস্থান ও শ্মশানগুলো দেখার কেউ ছিল না। যার জন্য ভয়ে কেউ আসতো না। যখন আমি লাইট লাগানোর জন্য পিডি মহোদয়কে বলি তখন তিনি বলেন শ্মশান কবরে লাইট দিয়ে কি হবে। তখন আমি বলেছিলাম আলোকিত মানুষদের আলোকিত করে রাখবো বলেই লাইট দিব। পরে তিনি সেই লাইট দিতে দ্বিমত করেননি। যার ফলে এখন ধর্মীয় স্থানগুলো দর্শনীয় স্থান হয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন সাহা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ সাহা, সদস্য রনজিৎ মোদক, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি শংকর সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহানগরের সভাপতি লিটন পাল প্রমুখ।