নাম মোঃ জসীম হাওলাদার বয়স১৭।প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাবার স্বপ্নে বিভোর ছিলো।আর তাই নিজে আত্নগোপন করে অপহরণের নাটক সাজিঁয়ে পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ হিসেব দাবী করা হয়েছিলো লক্ষাধিক টাকা।পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে নেত্রকোনা জেলার সদর থানা চৌরাস্তা মোড় থেকে একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকান থেকে কথিত অপহৃত কিশোর কে উদ্বার করার পর বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা।অপহরন নয় টাকা আদায়ের জন্য অপহরনের নাটক সাজিয়েছিলো।কিন্তু ফতুল্লা থানা পুলিশের উদ্বার অভিযানে সে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ঘটনার বিবরনীতে বড় ভাই আল আমীন হাওলাদার জানান,সে ফতুল্লা থানার শিয়াচর তক্কার মাঠ সংলগ্ন স্টিল মিলে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে।তার ছোট ভাই গত এক মাস পূর্বে তার এখানে আসে।চলতি মাসের ১৩ তারিখ সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার ভাই সেখান থেকে বের হলে তিনি তার ভাইকে ফোন করলে তার ভাই তাকে জানায় বিকেলের মধ্যো ফিরে আসবে।কিন্তু সে আর ফিরে না আসায় এবং বিভিন্ন জয়গায় খোঁজাখুজিঁ করে না পেয়ে গত শুক্রবার(১৬ অক্টোবর) তিনি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করে।সাধারন ডাইরীর দুই দিন পর তার ফোনে ফোন করে এবং ম্যাসেজ করে তাকে জানানো হয় যে তার ভাইকে অপহরন করা হয়েছে।মুক্তিপণ হিসেবে প্রথমে দেড় লক্ষাধিক টাকা দাবী করা হয়।পরবর্তীতে এক লক্ষাধিক এবং সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করা হয়।দাবীকৃত টাকা না দিলে তার ভাইকে হত্যা করা হবে জানিয়ে ম্যাসেজ প্রদাব করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় নেত্রকোনা সদর থানার চৌরাস্তা মোড়ের একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকানের ভিতর থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা উত্তোলনের সময় পুলিশ তাকে আটক করে।জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার ভাই জসিম জানায় যে,তাকে অপহরন করা হয়নি বাসা থেকে টাকা নেয়ার জন্যই সে আত্নগোপন করে অপহরন নাটক সাজিয়ে মোবাইল ফোনে এবং ম্যাসেজ করে টাকা দাবী করেছে।
অপরদিকে ফতুল্লা থানার এস,আই সোহেল সিদ্দিকি জানান,অপহরন এবং মুক্তিপণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং এবং কল লিস্টের সূত্র ধরে জসিমের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নেত্রকোনা সদর থানা সংলগ্ন চৌরাস্তার একটি মোবাইল ফোন ফ্যাক্সের দোকান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।এ সময় সে বিকাশে তার মায়ের পাঠানো টাকা উত্তোলনের জন্য অপেক্ষা করছিলো।তিনি আরো বলেন কল লিস্টের সূত্র ধরে তিনি জানতে পারেন যে,একটি মেয়ের সাথে জসিমের প্রতিনিয়ত কথাবার্তা হতো।আর তাই তিনি ধারনা করছেন যে সম্ভবত সেই মেয়টির জন্যই অর্থাৎ মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যাবার জন্যই সে এই অপহরনের নাটক সাজিয়েছিলো।জসিম কে তার মামা মতিন সরদারের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।