নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আমি সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা দেখি এই কারণে যে নারায়ণগঞ্জে প্রোভাইড করার জায়গা আছে।
যেমন যখন কেউ কোন পরিকল্পনা তখন আশে পাশেই কাউকে না কাউকে পেয়ে যান। যদি আপনি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন সে বিষয়েই আপনি আপনার চারপাশেই সে বিষয়ের কোন না কোন উদ্যোক্তা পাবেন। আগে হয়ত কাশেম জামালা বা কয়েকজন ছিলেন। এখন অনেকেই আছে যারা সাপোর্ট দিবেন।
নারায়ণগঞ্জে ৩ দিন ব্যাপী ৪১তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের সমাপনী দিন বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এর আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, আমরা সেমিনারে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম যে শিক্ষক, ছাত্র ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি সমন্বয় যাতে তৈরি করা যায়। সে সমন্বয় যদি ঘটাতে পারি তাহলে আমাদের ব্যর্থতা আর থাকবে না।
অনেক দূর দূরান্ত থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকবেই। তাই বলে যারা পরাজিত হয়েছেন তারা মন খারাপ করবেন না। যেসব স্কুল অংশগ্রহণ করে নাই তাদের জন্য দুঃখ হচ্ছে।
সেসব স্কুলেও বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন তাও তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সাহস পাইনি। অথবা জেলা প্রশাসক হিসেবে বা আমার শিক্ষা অফিসার এতই ব্যর্থ যে তাদের হয়ত উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি।
ব্যর্থতা সফলতা যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি এবারের বিজ্ঞান মেলা সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। মেলায় যারা এই ৩দিন ধরে পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, মেলায় সেই পুরাতন ফর্মুলার প্রজেক্টই দেখতে পেয়েছি। নতুন কিছুই পাইনি। ৮০ শতাংশেরও বেশি সেই আগেরই প্রজেক্ট।
শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, আপনারা যদি শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে জ্ঞান প্রদান না করেন, তাহলে তাদের জ্ঞান পাবার কোন সম্ভাবনা নাই।
অতএব, সব কিছুর মূলে আপনারা শিক্ষরাই রয়েছেন। আপনারাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ বানাবেন ও তৈরি করবেন। যারা মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তাদেরকেই বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ বানাতে হবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছোট বা বড় যেরকমই হোক প্রোগ্রাম করবেন। চাইলে মিলাদ বা নবীজীর জীবনীর উপর একটা লেখা দিতে পারেন। যাই করার করুন তবে কোন না কোন আয়োজন রাখবেনই।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেবেকা সুলতানা এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মানজুরা মুশাররফ, সানজিদা আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আফরোজা, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. রোমন রেজা প্রমূখ।