ধর্ষণ থেকে বাঁচতে মসজিদে আশ্রয়, রক্ষা পেল না বান্ধবী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বৈশাখী মেলা থেকে ফেরার পথে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় আরেক কিশোরী ধর্ষকদের হাত কামড়ে পালিয়ে এসে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রূপসী প্রধান বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, দুই বান্ধবী রূপসী নিউ মডেল স্কুলে বৈশাখী মেলায় বেড়াতে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা মেলা থেকে বের হয়ে বরপার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রূপসী প্রধান বাড়ির সামনে তাদের পথরোধ করে ছয় যুবক। দুই কিশোরীকে ছয় যুবক মিলে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষকদের হাত কামড়ে পালিয়ে যায় একজন। দৌড়ে গিয়ে পাশের একটি মসজিদে আশ্রয় নেয় সে। কিন্তু ওই সময় পালাতে পারেনি আরেক বান্ধবী। তাকে নির্জন স্থানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছয় যুবক। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা।

ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি রাতেই এ ঘটনা পুলিশকে জানায়। গতকাল রাত থেকে সোমবার (আজ) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত আনিসুর রহমান, আকাশ মিয়া ও ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে আড়াইহাজার উপজেলায় ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল উপজেলার প্রভাকরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে আড়াইহাজার থানায় মামলা করে স্কুলছাত্রীর পরিবার। সোমবার অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফায়জুর রহমান বলেন, ১১ এপ্রিল আড়াইহাজার উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে লিটন ১৪ বছরের ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি গরুর খামারে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে লিটন। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লিটন পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

এসআই ফায়জুর রহমান আরও বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে। একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় তারা। এ অবস্থায় থানায় মামলা করে স্কুলছাত্রীর পরিবার। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ধর্ষক লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।