৯৯৯ এ কল : বন্দরে ইটভাটা থেকে নারী শিশুসহ ৬২ জন উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : ইট তৈরির বকেয়া মজুরী চাওয়ার অপরাধে নারী ও শিশুসহ ৬২ জনকে দুই দিন অনাহারে একটি ঘরে আটকে রেখে শাররীক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের বিরুদ্ধে।

৩ এপ্রিল বুধবার রাতে ৯৯৯ এর সহযোগীতায় বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত এবিএফ ব্রিক ফিল্ড থেকে নারী ও শিশু সহ ৬২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। বকেয়া ৫০ হাজার ৫ শত টাকা চাওয়ার অপরাধে মালিক পক্ষ উল্টো ৪ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে শ্রমিকদের ২ দিন অনাহারে এক ঘরে আটকে রাখে।

কামতাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হুসাইন জানান, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল গ্রামের মৃত শফর আলীর ছেলে আলী আহম্মেদ আলীম, বারপাড়া গ্রামের মৃত হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে মিজান ও দাশেরগাঁও গ্রামের মৃত আফিজউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন মিলে ফুনকুন এলাকায় এবিএফ নামে একটি ব্রিক ফিল্ড নির্মাণ করে। এ ব্রিক ফিল্ডে ইট প্রস্তুত করার জন্য চুক্তিপত্র করে শেরপুর জেলার সদর থানার জিন্নত আলী ওরফে জিনি মিয়ার ছেলে কুতুবউদ্দিনের। প্রতিবছরের মত এবছরও ইট তৈরী শুরু করেন কুতুবউদ্দিন ও তার শ্রমিক দল।

গত ৩ মার্চ থেকে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির কারণে ইট তৈরীর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গত ১এপ্রিল রাতে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের কাছে ইট তৈরির মজুরীর বকেয়া ৫০ হাজার ৫ শত টাকা চাওয়া হয়। পরে মালিক আলীম ও মিজান উল্টো ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এসময় ইট ভাটা শ্রমিক কুতুবউদ্দিন বকেয়া টাকা থেকে খাবারের জন্য টাকা চায়। এতে মিজান ও আলীম ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে ইটভাটার এক ঘরে আটকে রাখে। অনাহারে দুই দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ইট ভাটা শ্রমিকরা ৯৯৯ ফোন করে তাদের উদ্ধারের জন্য সহযোগীতা চায়। ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ওই ইটভাটার ঘর থেকে ১৪জন নারী ও ৯জন শিশুসহ মোট ৬২জনকে উদ্ধর করা হয়।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক মিজান ও আলীম পালিয়ে যায়। পরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইয়া নবীর মাধ্যমে বকেয়া ৫০ হাজার ৫’শ টাকা আদায় করে শ্রমিকদের শেরপুর নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বন্দর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ দেওয়ানের কাছে এ বিষয়ে জানতে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।